পালসার ডাবল ডিস্ক বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৫ | Pulsar Double Disc Price in Bangladesh 2025

পালসার ডাবল ডিস্ক দাম কত: আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ২০২৫ সালে পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক ক্রয় করতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদের সাথে পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক দাম কত ২০২৫ সালে এবং বাইকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে একটি নতুন পালসার ডাবল ডিসপ্লে  বাইক ক্রয় করার, তবে এই আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়া উচিত।

পালসার ডাবল ডিস্ক দাম কত ২০২৫

পালসার ডাবল ডিস্ক দাম ২,১৭,০০০ টাকা বর্তমান বাজারে। ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে যদি আপনার একটি অসাধারণ সেগমেন্টের বাইক দরকার হয় তাহলে অবশ্যই পালসার ডাবল ডিস্ক বাইকটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে। কারণ এখানে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন ১৫০ সিসির একটি অসাধারণ ইঞ্জিন একই সঙ্গে সেটির টপ স্পিড ১২০ কিলোমিটার। তাই আপনারা যদি খুবই ভালো মানের একটি বাইক ক্রয় করতে চান যেটি অবশ্যই অসাধারণ হবে তাহলে এই গাড়িটি আপনার জন্য।

বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে বাজাজ কোম্পানি সরাসরি পালসার ডাবল ডিস্ক ১৫০ সিসি বাইক বিক্রি করছে। যারা এই বাইকটি ক্রয় করতে চান, তাদের জন্য প্রধান রাস্তা হলো বাজাজের অফিসিয়াল শোরুমে যাওয়া। আপনি যদি পালসার ডাবলডিস্ক ১৫০ সিসি বাইকটি ক্রয় করতে চান সেটা তো অবশ্যই আপনাকে বাজাজ কোম্পানির অফিসিয়াল শোরুমে যেতে হবে। বাংলাদেশের উত্তরা মোটরস সহ বাজাজের অফিসিয়াল শোরুম এখন দেশের প্রায় সব ছোট-বড় শহরে আছে। তাই আপনিও খুব সহজেই আপনার এলাকার শোরুম থেকে পালসার ডাবলডিস্ক ১৫০ সিসি বাইকটি ক্রয় করতে পারবেন।

পালসার ডাবল ডিস্ক ২০২৫ এর সম্ভাব্য দাম

২০২৫ সালে বাংলাদেশি বাজারে পালসার ডাবল ডিস্ক বাইকের দাম ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত এটির দাম থাকে প্রায়ঃ

• Bajaj Pulsar 150 Double Disc Bangladesh  Price:২,১৫,০০০ – ২,২৫,০০০ টাকা

• Bajaj Pulsar 160 Double Disc Bangladesh  Price:২,৫০,০০০ – ২,৬০,০০০ টাকা

• Bajaj Pulsar 180 Double Disc Bangladesh  Price:২,৭০,০০০ – ২,৮৫,০০০ টাকা

পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক স্পেসিফিকেশন :

মডেল	Pulsar 150 Double Disc
দাম	২,১৭,০০০ টাকা
ইঞ্জিন	৪-স্ট্রোক, ২-ভালভ, টুইন স্পার্ক DTS-i FI, BSVI কমপ্লায়েন্ট
সিসি	১৫০ সিসি
টপ স্পিড	১২০ কিমি
মাইলেজ	৪০ কিলো/লি
ফুয়েল ট্যাঙ্ক	১৫ লিটার (৩.২ লিটার রিজার্ভ)
ওজন	১৪৮ কেজি

 

পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক ডিটেইলস:

বাংলাদেশের বাইকপ্রেমীদের মধ্যে বাজাজ পালসার ডাবল ডিস্ক ১৫০ সিসি বাইক একটি জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য বিকল্প। যারা চাচ্ছেন শক্তিশালী পারফরম্যান্স, স্টাইলিশ ডিজাইন এবং সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ একসাথে, তাদের জন্য এটি একটি সেরা পছন্দ বাইক। এছাড়াও বাইকটিতে থাকছে ১৫০ সিসি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার সিস্টেম। যার মাধ্যমে খুবই সহজেই ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত টপ স্পিড উঠানো সম্ভব। বাজাজ ডবল ডিস্ক বাইকটিতে প্রতি লিটারে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া বাজাজ ডাবল ডিস্ক বাইকের ওজন মাত্র ১৪৮ কেজি। তাই সহজেই যে কেউ বা একটি হ্যান্ডেল করতে পারে।

পালসার ডাবল ডিস্ক ইঞ্জিন এবং পারফরম্যান্স

পালসার ডাবল ডিস্ক বাইকটিতে রয়েছে চার স্ট্রোক, ১৫০ সিসি ইঞ্জিন, যা ডিজাইন করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার জন্য।

• ইঞ্জিন টাইপ: ৪-স্ট্রোক, ২-ভালভ, টুইন স্পার্ক DTS-i

• ডিসপ্লেসমেন্ট: ১৫০ সিসি

• শক্তি ও টর্ক: ১৩.৮ বিএইচপি @ ৮৫০০ আরপিএম, ১৩.২৫ এনএম @ ৬৫০০ আরপিএম

• টপ স্পিড: প্রায় ১২০ কিমি/ঘণ্টা

• মাইলেজ: প্রতি লিটার ৪০ কিমি পর্যন্ত

পালসার ডাবল ডিস্ক ওজন এবং হ্যান্ডলিং

• কেবার ওজন: মাত্র ১৪৪ কেজি

• হালকা ওজনের কারণে যেকোনো রাইডার সহজেই বাইকটি হ্যান্ডেল করতে সক্ষম।

• সাসপেনশন: সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক, পিছনে টুইন শক অ্যাবসর্বার

• গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ১৬৫ মিমি

পালসার ডাবল ডিস্ক ব্রেক ও নিরাপত্তা

• সামনে ও পিছনে ডিস্ক ব্রেক

• ABS: সিঙ্গেল চ্যানেল

• সেফটি ফিচার: ইঞ্জিন কিল সুইচ ও সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর

পালসার ডাবল ডিস্ক ডিজাইন ও ফিচার

•  ফ্রেম: ডাবল ক্র্যাডল ফ্রেম

• ডাইমেনশন: ২০৩৫ × ৭৬৫ × ১১১৫ মিমি

• সিট উচ্চতা: ৭৮৫ মিমি

• ফুয়েল ট্যাঙ্ক: ১৫ লিটার (৩.২ লিটার রিজার্ভ)

• ডিজিটাল + অ্যানালগ স্পিডোমিটার, ফুয়েল গেজ, ট্রিপমিটার

• LED টেইল লাইট ও DRL

পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক রিভিউ:

আমার পার্সোনাল মতামত অনুসারে বাজাজ ডবল ডিস্ক বাইকটি অসাধারণ একটি বাইক। যাদের বাজেট দুই লক্ষ টাকার উপরে  বাজেট রাখতে পারেন, তারা চোখ বন্ধ করে বাজাজ পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক ক্রয় করতে পারেন। পালসার ডাবল ডিস্কের বাইকটিতে আপনারা যে সকল সিস্টেম এবং ফ‍্যাসিলিটিক্স গুলো পাচ্ছেন সেগুলো অন্যান্য বিভিন্ন কোম্পানির বাইক গুলোতে পাওয়া যায় না।

সুতরাং, যদি আপনার এমন একটি বাইক কেনার ইচ্ছা থাকে যা আপনাকে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স দিবে এবং একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহারযোগ্য হবে, সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বাজাজ পালসার ডাবল ডিস্ক ১৫০ সিসি বাইক আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ। তাছাড়া আমার পরিচিত যারা এই বাইকটি ক্রয় করেছেন, তাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বাইকটিতে ইঞ্জিনের কোনো সমস্যা নেই। এবং বাইকটির ইঞ্জিন অত্যন্ত ভালো পারফর্ম করে। যদি আপনি অফ-রোডে বা লং জার্নি করার জন্য পাহাড়ি এলাকা তেও ড্রাইভ করতে চান, সেক্ষেত্রেও এই বাইক আপনাকে চমৎকার পারফরম্যান্স দেবে।

আমাদের শেষ কথা

আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পেরেছেন পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক দাম কত। মূলত, আমরা শুধুমাত্র বাইকের দামই জানাইনি, বরঞ্চ বাইকের সমস্ত ডিটেলস, ফিচার এবং পারফরম্যান্স সম্পর্কেও তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বাইকটির ইঞ্জিন, পারফরম্যান্স, মাইলেজ, হ্যান্ডলিং, ডিজাইন এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্যগুলো পুরোপুরি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং ব্যবহারযোগ্য হয়েছে। যদি কোথাও মনে হয় আমাদের তথ্য ভুল বা অসম্পূর্ণ, তাহলে অনুগ্রহ করে কমেন্ট সেকশনটিতে জানাবেন। আমরা তা সংশোধন ও হালনাগাদ করে দেব। এছাড়াও, যারা বাইক পছন্দ করেন এবং বিশেষত পালসার বাইক প্রেমী, তাদের সঙ্গে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন, যাতে তারাও সব তথ্য সহজে জানতে পারে।